দিন দিন বয়সের তুলুনায় সাস্থ্যের অবস্থা খারাপ হতে পারে আবার বয়সের তুলুনায় সাস্থ্যের অবস্থা ভালোও হতে পারে। স্বাস্থ নিয়ে কাউকে কোনো প্রশ্ন করলেই সে প্রশ্নের অধিকাংশ মানুষ উত্তর দেয় যে স্বাস্থ হলো আল্লাহর দান হ্যা আমরা মানি যে স্বাস্থ হলো আল্লাহর দান ,কিন্তু প্রতিনিয়ত আমাদের কিছু ভুল (খাবার ,চলাফেরা ,দুশ্চিন্তা) সহ অনেক অনিয়মের কারণেও আমাদের সুন্দর স্বাস্থ নষ্ট হয়ে যায়
তাই শরীর ও স্বাস্থকে স্বাভাবিক ভাবে ভালো রাখার জন্য আমাদের সচেতন থাকতে হবে মনোযোগ দেওয়া উচিৎ পুষ্টিকর খাবারে কারণ পুষ্টিকর খাবার না খেলে সাস্থ ভালো রাখা সম্ভব নয় বলেছেন অভিজ্ঞ ডাক্তারেরা
মানুষের দেহ যা কিনা রক্তে মাংসে তৈরী তাই মানবদেহের প্রতিটি অঙ্গ ও প্রত্যঙ্গ ভালো রাখার জন্য ভিটামিন যুক্ত ও স্বাস্থকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন
How Can I Maintain A Healthy Diet | বয়সের তুলনায় স্বাস্থ
স্বাস্থর জন্য একটি নির্দির্ষ্ট বয়স রয়েছে জন্মের পর থেকেই বাচ্চাদের সাস্থ অনেক ভালো হয় তবে কিছু বাচ্চাদের সাস্থ আবার খারাপ ও হয় কারণ মায়ের শরীরে যথেষ্ট পরিমানে থাকেনা ভিটামিন ও আয়রন যার কারণে বাচ্চাদের
সাস্থ ও ওজন একটু কম হয়ে থাকে তারপর যখন বাচ্চা ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে তখন তাদের স্বাস্থ পুনরায় সঠিক ভাবে গঠন হতে থাকে
বয়ঃসন্ধি কালে কিশোর ও কিশোরীদের স্বাস্থ একটু ভেঙে যেতে পারে কারণ সেই সময় তাদের শরীরে প্রুচুর পরিমানে ঘাটতি হয় বিভিন্ন প্রকার হরমোনের। তবে যদিও বিষয় টি দীর্ঘ স্থায়ী নয় তাই এটা নিয়ে দূশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই
বয়সের তুলনায় স্বাস্থ খারাপ হতে পারে যেমন প্রাপ্ত বয়স্কদের বা বৃদ্ধ- বয়সে। কারণ সেই সময় তাদের শরীরের রক্ত চলাচল কমে যায় ,অসুস্থ হয়ে যায় বিভিন্ন অসুখের কারণে ,ঘাটতি পরে যায় বিভিন্ন ভিটামিন ও পুষ্টির তাই সেই সময় তাদের শারীরিক ভাবে স্বাস্থ অনেকটা খারাপ দেখা যায়।
তাই স্বাস্থ সবসময় সুস্থ ও সবল রাখার জন্য প্রতিদিন খাবারের তালিকায় ভিটামিন ও পুষ্টি যুক্ত খাবার রাখুন। নিরাপদ থাকুন বিভিন্ন (ভাইরাস ও ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণে) নিয়মিত পরামর্শ নিন আপনার পাশে থাকা ডাক্তাদের কাছ থেকে ও সাস্থ সেবা কেন্দ্র থেকে।
ভালো স্বাস্থর জন্য ভিটামিন ও পুষ্টিকর খাবার
How Can I Maintain A Healthy Diet : স্বাস্থ ভালো রাখার জন্য ভিটামিন ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফল মূল হিসেবে খেতে পারেন আম ,জাম ,পেঁয়ারা ,আনারস ,লিচু ,কলা,জাম্বুরা ইত্যাদি। এছাড়াও আরো অনেক প্রজাতির ফল মূল রয়েছে যা আপনার স্বাস্থর জন্য অনেক ভালো পুষ্টির অবদান রাখে
আপনার প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় আমিষ যুক্ত কিছু খাবার রাখুন যেমনঃ মাছ ,মাংস ,ডিম্ দুধ ,ইত্যাদি সহ আরো আমিষ যুক্ত খাবার রাখুন
এছাড়াও বিভিন্ন শাকসবজি খাওয়ার অভ্যাস তৈরী করুন যেমনঃ আলু,মিষ্টিকুমড়া,টমেটো,ওলকপি,ফুলকপি,করলা,ঢ্যাঁড়স, লাল শাক ,পুঁইশাক ,কচুশাক ,ইত্যাদি। আরো রাখতে পারেন স্নেহ বা চর্বি জাতীয় খাবার যেমনঃ তেল ,ঘি ,মাখন ইত্যাদি।
তবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী স্নেহ বা চর্বি জাতীয় খাবার স্বাস্থর জন্য যতটা উপকারী ঠিক ততটাই অপকারী তাই নিয়ম মেনে খাওয়াটা স্বাস্থর জন্য ভালো।
How Can I Maintain A Healthy Diet | অতিরিক্ত বাহিরের খাবার বন্ধ করুন
বাহিরের খাবার যা আপনার স্বাস্থর জন্য অনেকটা ক্ষতিকর কারণ বাহিরের অধিকাংশ খাবারই অস্বাস্থকর পরিবেশে তৈরী হয়। ব্যবহার করা হয় প্রয়োজনের থেকে অতিরিক্ত মাত্রায় বিভিন্ন জিনিস। খাবারকে আকর্ষনীয় করার জন্য মিশানো হয় বিভিন্ন ধরণের কেমিক্যাল যা আপনার স্বাস্থর জন্য ক্ষতি করে থাকে তাই অতিরিক্ত প্রয়োজন ছাড়া
বাহিরের খাবারকে না বলুন ঘরের খাবারের দিকে মনোযোগ দিন যা আপনার নির্দিষ্ট মাত্রায় সকল পুষ্টিকর জিনিস দিয়ে তৈরী ,কেমিক্যাল মুক্ত ,এবং স্বাস্থকর পরিবেশে তৈরী যা আপনার স্বাস্থর জন্য অনেক ভালো প্রভাব ফেলে এবং আপনার স্বাস্থকে ভালো রাখে
How Can I Maintain A Healthy Diet | ধূমপান ও মদ্যপান
ধূমপান ও মদ্যপান থেকে দূরে থাকুন কারণ ধূমপান ও মদ্যপান স্বাস্থর জন্য অনেক ক্ষতিকর। ধূমপান ও মদ্যপান করার ফলে কারো স্বাস্থর কখনো উন্নতি হয়না তবে অবনতি ঠিকই হয়। ধূমপান ও মদ্যপান শুধু স্বাস্থর জন্যই ক্ষতিকর নয় বরং ধ্বংস করে দিতে পারে আপনার সুন্দর জীবন। তাই ভালো স্বাস্থ ও আপনার জীবনকে নিরাপদের রাখার জন্য ধূমপান ও মদ্যপান থেকে দূরে থাকুন।
শরীর ও স্বাস্থ ভালো রাখার জন্য মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা ছেড়ে দিন
দুশ্চিন্তা যা মাথার মস্তিস্ক থেকে বিভিন্ন মানসিক চাপের কারণে উৎপত্তি হয়ে থাকে। তাহলে দুশ্চিন্তার কারণে কি মানবদেহে বা স্বাস্থর উপর কোনো খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে?
হ্যা এটা সম্ভব দুশ্চিন্তা করলে মানুষ এমনি থেকেই শুকিয়ে যায় ,হারিয়ে যেতে পারে খাবারের প্রতি রুচি আর খাবারের প্রতি রুচি হারিয়ে গেলে তখন সে বিষয় টি শারীরিক প্রতিক্রিয়ার মধ্যে চলে আসে।
আর শারীরিক ভাবে যদি মানুষ সুস্থ না থাকে তাহলে স্বাস্থর উন্নতি কিভাবে ঘটবে তাই আপনার শরীর ও স্বাস্থর কথা ভেবে মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা ছেড়ে দিন বিনা কারণে কোনো বিষয়ে
অতিরিক্ত মানসিক চাপ নিবেন না সবসময় হালকা থাকার চেষ্টা করুন। অন্যের কোনো সামান্য বিষয় নিয়ে নিজের দুশ্চিন্তা বন্ধ করুন। দুশ্চিন্তা যা খুবই খারাপ একটা জিনিস। যার প্রভাবে ঘটতে পারে আপনার আরো অন্য কোনো সমস্যা
তাই সবসময় নিজেকে মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন। সবসময় হাসিখুশি আর আনন্দে থাকার চেষ্টা করুন যা আপনার শরীর ও স্বাস্থর জন্য ভালো প্রভাব বয়ে নিয়ে আসতে সাহায্য করে থাকবে
নিয়মিত ঘুম দিন | How Can I Maintain A Healthy Diet
ঘুম মানুষের শরীর ও স্বাস্থর জন্য অনেক উপকারী সারাদিন বিভিন্ন কাজ করার পর মানুষের শরীর ক্লান্ত হয়ে যায় আর সঠিক সময়ে ঘুমানোর পর ঘুম দূর করে দেয় মানুষের ক্লান্ততা ও ক্ষতি শোধন করে মানবদেহের তাই সঠিক সময়ে ঘুম দেওয়ার চেষ্টা করুন।অপ্রয়োজনে রাতে জেঁগে থাকবেন না ,মোবাইল বা বিভিন্ন ডিভাইসের প্রতি বেশি আসক্ত হওয়া থেকে বিরত থাকুন।
ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী জানা গেছে যে একজন মানুষ যখন ঘুমিয়ে পরে তখন তার মস্তিষ্কের হয়রানি বন্ধ হয়ে যায় এবং স্বাভাবিক ভাবে চলাচল করতে থাকে রক্ত ও কাজ করতে সক্ষম হয়ে থাকে বিভিন্ন দুর্বল সিরা ও কোষ গুলো তাই ভালো স্বাস্থ লাভের জন্য নিয়ম মেনে ঘুম দিন।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন
নিয়মিত খেলাধুলা সহ ব্যায়াম (Exercise) করুন যা আপনার শরীর ও স্বাস্থর জন্য অনেক প্রয়োজনীয়। নিয়মিত ব্যায়াম করলে মানুষের মস্তিষ্কের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় ,দূর হয়ে যায় ক্লান্ততা, শরীর থাকে সুস্থ ও স্বাভাবিক,দেহ থাকে (স্লিম ও স্মার্ট ) স্বাস্থ ঠিক রাখার জন্য নিয়মিত খেলাধুলা ও ব্যায়াম করা অনেক প্রয়োজনীয়।
তাই প্রতিদিনের কাজের ও চলাফেরার তালিকায় নিয়ম মেনে খেলাধুলা ও ব্যায়াম করার একটি নির্দির্ষ্ট সময় নির্ধারণ করুন।
পর্যাক্ত পরিমানে পানি পান
How Can I Maintain A Healthy Diet : পানি আপনার শরীর ও স্বাস্থর জন্য কখনোই কোনো খারাপ প্রভাব ফেলবে না ,উন্নতি করতে সাহায্য করবে আপনার শরীর ও স্বাস্থর। বেড়ে যাবে রোগ - প্রতিরোধ ক্ষমতা,তাই একজন মানুষের শরীর ও স্বাস্থ ভালো রাখার জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করা প্রয়োজন।
নিয়মিত পর্যাক্ত পরিমানে পানি পান করলে শুধু (স্বাস্থ ও রোগ প্রধিরোধ) নয় এছাড়াও পর্যাক্ত পানি পান মানুষের অনেক উপকারের ভূমিকা পালন করে থাকে যেমনঃ শরীরে অধিক শক্তি যোগাতে ,ত্বক ও উজ্জ্বলতা ,হজম শক্তি বৃদ্ধি ,অধিক মনোযোগ ,শরীর স্লিম ও স্মার্ট ,দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদির বিভিন্ন উপকারের জন্য কাজ করে থাকে পানি তাই আপনিও নিয়মিত পর্যাক্ত পানি পান করুন।